মো: সাইফুল ইসলাম খোকন :::
ভোর বেলা থেকে দুপুর পর্যন্ত ২ দফায় বৃষ্টিতে চকরিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কক্সবাজার, কুতুবদিয়াসহ বেশ কিছু এলাকায় নষ্ঠ হয়ে গেছে চাষীদের স্বপ্নের লবন চাষ। এছাড়া বৃষ্টির কারনে নষ্ট হয়ে গেছে ইটভাটার কাঁচা ইট। মাথায় হাত দিতে শুরু করেছে তামাক চাষীরা। কিন্তু প্রাণ ফিরে পেয়েছে সবজি ও ধান চাষীরা। তবে বসন্তের আমগাছসহ বিভিন্ন গাছে আসা মুকুল ঝরে গেছে। এতে এ বছর এ দিকে আমসহ বিভিন্ন গাছের ফল আসার সম্ভবনা কম হতে পারে।
আজ ৬মার্চ সোমবার দিন ভোরে ও দুপুরের সময় হালকা বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় দমকা-ঝড়ো হাওয়ার ও বজ্রপাতের মধ্যেদিয়ে শুরু হয় বৃষ্টি হয়েছে । ফলে জেলাসহ বেশ কটি উপজেলার লবন ও ইট ভাটার ক্ষতি হয়েছে।
চকরিয়ার আমান্যারচর এলাকার চাষী নুরুল আবছার জানিয়েছে, সকাল ও দুপুরের বৃষ্টিতে মরিচ, টমেটো, সবজি ক্ষেতের ব্যাপক উপকার হয়েছে। ধানে ক্ষেতে থোরে পানি যেন ফলনের ব্যাপক আশা করা যাচ্ছে।
মগনামা ইউনিয়নের লবণ চাষি আবদুল আলী জানান- বৃষ্টি কারণে মাঠে প্রচুর লবণ ছিল; হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বেশী ভাগ লবন নষ্ট হয়ে যায়। এতে লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তাঁর।
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের শফিউল কাদের প্রকাশ কালা শফি জানান; চলতি বছরে ৭ একর লবণ মাঠ করেছেন তিনি। আগ্রহায়ন মাসের শুরুতে লবণ মাঠে নামেন ৬ জন শ্রমিক সহ তিনি। বছরের শুরুতে লবনের ন্যায্য মূল্য থাকলেও পরবর্তীতে লবণের মূল্য হ্রাস পাওয়ায়; লবণ উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। আবার লবণ চাষিদের সভা সমাবেশের কারণে লবণ এর আবারও দাম উর্দ্ধগতী দেখে লবণ পুরুদমে উৎপাদন শুরু করেন। কিন্তু ফাল্গুনি ঝড়ো হাওয়ায় পলতিনের লবণ মাঠ তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্পূখিন হয়েছেন তার।
কোনাখালী ইউনিয়নের লবণ চাষি অহিদুল ইসলাম জানান- চলতি বছর ২একর লবণ চাষ করেছেন । সোমবার দিন সকাল এর বৃষ্টিতে মাঠে উৎপাদিত লবণের বেশীর ভাগই নষ্ঠ হয়ে গেছে। এতে তার অর্ধলক্ষাধীক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ।
ইটভাটা মালিক শমশুল আলম জানায়, হঠাৎ বৃষ্টির কারণে তারসহ আশ পাশের ইট ভাটার বেশীর ভাগ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ইট ভাটা মালিকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ।
মানিকপুরের তামাক চাষী কবির আহমদ জানান, হঠাৎ বৃষ্টির কারণে তামাক ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তামাক পাতার ওজন কমে যাবে আর রং আসবেনা। যার ফলে ভাল গ্রেডে আসবেনা। এতে চাষীদের লাভের আশা করা সম্ভব হবেনা।
ফাঁসিয়াখালীর মরিচ চাষী মাহফুজ খুশিতে তার মরিচ, টমেটো ও বেগুন ক্ষেত অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। এ বৃষ্টির কারণে নতুন ভাবে ক্ষেত সতেজ হয়ে পুনরায় ফল আসবে। এতে অনেক টাকা আশা করছে তিনি।
অনেক লবন চাষীরা জানায়, চলতি বছরের লবণ উৎপাদনের আরো আড়াই মাস সময় বাকি আছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে এই বছরও লবণ এর বাম্পার ফলন হত। এতে প্রান্তিক চাষীরা কিছু আয়ের মুখ দেখত। প্রকৃতিক বিপয়ের কারণে তারা আর মোনফার মুখ দেখছেনা। প্রকৃতি দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত লবন চাষীরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কাছে লবণ এর ন্যার্য্য মূল্য ধরে রাখবেন বলে আশা করছেন। ##
পাঠকের মতামত: